নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ফ্লোর প্রাইস বা পতনের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।
আজ (রোববার) লেনদেন শুরুর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ি ডিএসইসি তালিকাভুক্ত সব সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়। কিন্তু বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়নি। এই বিষয়ে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারনিউজে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর (এভারেজ প্রাইস) হবে সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দরের নিচে কোনো সিকিউরেজের দর নামতে পারবে না। কিন্তু ডিএসই এভারেজ প্রাইসের নিচের শ্লটে বা নিচের টিকে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছে করলে উপরের শ্লটে বা উপরের টিকেও ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করতে পারতো।
এই বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সিওও সাইফুল ইসলাম মজুমদার শেয়ারনিউজকে বলেন, শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার বিএসইসির নির্দেশনা রয়েছে। এক্ষেত্রে গত পাঁচ কাযদিবসের শেয়ার দরের যে গড় দর হয়েছে, তা কিছুটা কমিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি বিএসইসি জানে বলে তিনি জানান।
ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ নিয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম শেয়ারনিউজকে বলেন, ডিএসইর সফটওয়্যারের নিয়ম অনুযায়ী হয়তো ১০ পয়সা বাড়বে অথবা ১০ পয়সা কমবে। কিন্তু এর মাঝামাঝি যে সকল কোম্পানির শেয়ার দরের গড় হয়েছে, সে সকল শেয়ারের ক্ষেত্রে কমিয়ে তার নিকটবর্তী প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিএসইসি অবগত আছে বলে তিনি জানান।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক দিন শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পতন হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা অনেক বেশি লোকসানে রয়েছেন। কিন্তু ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত ৫ দিনের এভারেজ প্রাইসের নিচের প্রাইসকে ধরা হয়েছে। অথচ এভারেজ প্রাইজের উপরের প্রাইসেও ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা যেতো।
তারা বলছেন, ১০ পয়সা কমানো বা বাড়ানো তাদের কাছে কিছুই না। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনেক কিছু। কারণ ১০ পয়সা করে লাভ হলে তারা যে শেয়ার বিক্রি করেন, সেই শেয়ার বেশি পরিমাণ হলে হয়তো অনেক লাভ দেখা যাবে। আবার ১০ পয়সা কম দরে শেয়ার বিক্রি করলে, সেই শেয়ার যদি বেশি পরিমাণে হয়, তাহলেও অনেক লোকসান দেখা যাবে।
৫ দিনের এভারেজ প্রাইজ এবং ডিএসই নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইসের তথ্য নিচে দেওয়া হলো-