নিজস্ব প্রতিবেদক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ফুটবলার রায়ান গিগসের বিরুদ্ধে বান্ধবীকে নির্যাতনের অভিযোগে বিচার চলছে। আদালতের শুনানিতে সামনে এসেছে গিগসের বিরুদ্ধে চমকে যাওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ।
গিগসের বান্ধবী কেট গ্রেভিলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তাঁকে হোটেল থেকে নগ্ন অবস্থায় ছুড়ে ফেলেছিলেন ওয়েলস তারকা। শুধু এটুকুই নয়, গিগস ল্যাপটপ দিয়ে মাথায় আঘাত করেছেন বলেও জানিয়েছেন গ্রেভিলে।
ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের শুনানিতে গিগসের বিরুদ্ধে গ্রেভিলের অভিযোগগুলো এভাবেই তুলে ধরেন।
গ্রেভিলের দাবি, গিগস তাঁর ভালো বন্ধু থেকে নোংরা ও ঘৃণ্য মানুষে পরিণত হয়েছিলেন। পাশাপাশি গিগসের বিরুদ্ধে ‘নির্যাতন’ ও ‘প্রতারণা’সহ একাধিক অভিযোগের কথাও বলা হয়েছে।
প্রসিকিউটর পিটার রাইট কিউসি এর আগে সোমবার আদালতে বলেছিলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে এক ঘটনায় রায়ান গিগস নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং গ্রেভিলেকে মাথা দিয়ে আঘাত করেন। এতে গ্রেভিলের ঠোঁট ফুলে যায় এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
গ্রেভিলে বলেন, ২৩ বছর পরও ফুটবলারের জন্য নগ্ন হওয়া তার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। মঙ্গলবার গোয়েন্দাদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেভিলে আরও যোগ করে বলেন, ‘একবার হঠাৎ করে সে এসে আমার কাঁধ চেপে ধরে মাথা দিয়ে মুখে আঘাত করে।’
গ্রেভিলে বলেন, এরপর অন্য একটি ঘটনায় গিগস নগ্ন অবস্থায় তাঁকে ও তাঁর জিনিসপত্র হোটেলের বাইরে ছুড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ করেন গ্রেভিলে।
গ্রেভিলে দাবি করেন, গিগস সারাক্ষণ যৌন সম্পর্ক দাবি করতেন এবং একই সময়ে আরও আটজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এমনকি গ্রেভিলের বোন এমা গ্রেভিলেকেও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে গিগসের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ম্যান ইউনাইটেডে খেলার সময় থেকেই গ্রেভিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান গিগস। ২০১৭ সাল থেকে দুজনের সম্পর্কে অবনতির শুরু হয় এবং ২০২০ সালের শেষ দিকে গিগসের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন গ্রেভিলে।