নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকের মাধ্যমে এমবিবিএস পাস করা জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক (২৭) ও রেজাউল করিম রেজার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তারা দুজনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন এবং বিভিন্ন হোটেলেও থেকেছেন।
জান্নাতুল ও রেজার সম্পর্কের বিষয়টি জানতো মেয়ের পরিবার। এক পর্যায়ে প্রেমিক রেজা বিয়ের প্রস্তাব দেন মেয়ের পরিবারকে। কিন্তু রেজার চরিত্রগত সমস্যার কারণে মেয়ের পরিবার সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি না।
নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জান্নাতুলকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে রেজা। পরিবারের অমতে বিয়ের পিঁড়িতে না বসাই কাল হলো মেয়েটির।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত রেজাউল করিম রেজাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত ১০ আগস্ট রাতে পান্থপথে ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট আবাসিক হোটেল থেকে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব- ২, র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকা থেকে মামলার আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেজা জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা গোপনে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে থাকতেন।
কিন্তু রেজা ও জান্নাতে বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি জান্নাতুলের পরিবার।
ওইদিন রেজার সঙ্গে একাধিক নারীর পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জান্নাতুলকে গলা কেটে হত্যা করে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায় রেজা।
নিহত জান্নাতুলের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি গ্রামে। রাজধানীর রাজারবাগে ২ নম্বর মোমেনবাগ দোলনচাঁপা ভবনে থাকেন তারা। মগবাজার কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করেন জান্নাতুল। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।