নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে দেশে, ঘরে ঘরে চলছে পরকীয়া। আধুনিকতার ছোঁয়া যত বাড়ছে, পরকীয়ার মাত্রাও তেমনি বাড়ছে। কিন্তু পরকীয়া শব্দটিই যেনো পুরুষদের জন্যই তৈরি। এর তীর সব সময়ে পুরুষদের দিকেই তাক থাকে। তবে গবেষণা ও বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা।
হালের একটি সমীক্ষা বলছে, পুরুষ নয়, পরকীয়ায় বেশি আগ্রহী মহিলারা। আর যৌনজীবনে একঘেয়েমির কারণেই সেদিকে ঝুঁকছেন মহিলারা।
নৃবিজ্ঞানী এবং আনট্রু নামক বইয়ের লেখক, গবেষক ওয়েডসডে মার্টিন বলেন, একটি বয়সের পর মহিলাদের যৌন চাহিদা কমে যায়, এমনটা নয়। তবে তারা একই রকম যৌনজীবন কাটাতে পছন্দ করেন না, বৈচিত্রের খোঁজ করেন।
বিজ্ঞান বলছে, মহিলাদের সারা জীবন একই সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে বেশি সমস্যা হয়। তারা পুরুষদের তুলনায় যৌন সম্পর্কে অনেক বেশি রোমাঞ্চ এবং বৈচিত্র পছন্দ করেন।
কোন ধরনের মহিলা বেশি পরকীয়ায় লিপ্ত: ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সি শহুরে, শিক্ষিত, আধুনিকা, কর্মরতা মহিলাদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪৮ শতাংশ মহিলা পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছেন। আর এই মহিলাদের একটি বড় অংশই একটি সন্তানের মা-ও বটে।
‘গ্লিডেন’ নামক একটি বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। এই অ্যাপটি মূলত তৈরি হয়েছে মহিলাদের জন্য।
সমীক্ষাটি বলছে, ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সি শহুরে, শিক্ষিত, আধুনিকা, কর্মরতা মহিলাদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪৮ শতাংশ মহিলা পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছেন। আর এই মহিলাদের একটি বড় অংশই একটি সন্তানের মা-ও বটে।
এছাড়াও অ্যাশলে ম্যাডিসন নামক খ্যাতনামা ডেটিং ওয়েবসাইটের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ১২টি পেশার মানুষের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা সর্বাধিক। আর এই পেশার মানুষদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতায় শীর্ষে রয়েছেন চিকিৎসকরা। ডেটিং ওয়েবসাইটটি ১০০০ জন বিবাহিত ব্যক্তিদের উপর এই সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, পরকীয়ায় জড়িত নারীদের মধ্যে ২৩ শতাংশই ছিলেন চিকিৎসক ও নার্স। এর কারণ হিসেবে তারা জানায়, দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে মানসিক চাপ কমানোর জন্যই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
অন্যদিকে পরকীয়ায় জড়িত এমন পুরুষদের মধ্যে ৫ শতাংশই ছিলেন চিকিৎসক। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন শিক্ষকরা। এ পেশার মানুষ সর্বাধিক পরকীয়ায় আগ্রহ দেখান। পরকীয়ায় জড়িত নারীদের ১২ শতাংশ ও পুরুষদের ৪ শতাংশই অধ্যাপক, প্রভাষক কিংবা শিক্ষক বলে মত গবেষকদের। উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা আছেন তালিকার তৃতীয় স্থানে। পরকীয়ায় আগ্রহী ৯ শতাংশ নারী ও ৮ শতাংশ পুরুষ এই ধরনের পেশায় যুক্ত ছিলেন বলে দেখা গেছে সমীক্ষায়। এরপর তালিকায় যথাক্রমে আছেন- খুচরা বিক্রেতা, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, আইটি কর্মী, উকিল, বিনোদন জগতের মানুষ, কৃষিকাজ ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
আশ্চর্যজনকভাবে, আইটি বিভাগে কর্মরত পুরুষরা ৫ শতাংশ ও ২৩ শতাংশ নারী পরকীয়ায় জড়িত। তবে এই ধরনের সমীক্ষাকে কখনো সামাজিক সত্যের সামগ্রিক প্রতিফলন হিসেবে ধরে নেবেন না।