নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি জানান, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, জ্বালানি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে সেই বাস্তবতাই বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিলেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে এসব কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়তা-প্রার্থী ঝূঁকিপূর্ণ দেশগুলো এখন আরও প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা এমন একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছি, যখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পারস্পরিক সংহতি প্রদর্শন করা আবশ্যক। আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে, সংকটের মুহূর্তে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো জাতিসংঘ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরীপন্থা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং আর্থিক সংকটের মতো বৈশ্বিক প্রতিকূলতার রূপান্তরমূলক সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের অবসান চাই। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ ও গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সকল মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসংকটে পতিত হয়।
শেখ হাসিনা বিশ্ব বিবেকের কাছে আমার আবেদন রেখে বলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করুন। শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব দেখতে চাই, যেখানে থাকবে বর্ধিত সহযোগিতা, সংহতি, পারস্পরিক সমৃদ্ধি এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব।