নিজস্ব প্রতিবেদক : নাভানা ফার্মার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৫টি করে আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ১৮৮টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
নিকুঞ্জস্থ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনে আজ রোববার(০২ অক্টোবর) প্রো-রাটার ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্যে কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতি ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা ৪৫টি শেয়ার আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ১৮৮টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
আর কোম্পানিটিতে ৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৬.১৬ গুন বেশি আবেদন জমা পড়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন জমা দেয় বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৩৪ টাকায়। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, কাট-অব প্রাইসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ ডিসকাউন্ট দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আইপিও শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে।
গত ৮ জুন বিএসইসির ৮২৬তম কমিশন সভায় নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের বিডিং করার অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭৫ কোটি টাকা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ অনুযায়ী আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করার প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। উত্তোলিত অর্থে কোম্পানির নতুন সাধারণ উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্পোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।
কোম্পানির দাখির করা আর্থিক প্রতিবেদেন অনুযায়ি, ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত নয় মাসে পুনর্মূল্যায়নসহ নাভানা ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সায়। তবে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা এবং বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২ টাকা ৫১ পয়সা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ফেয়ার ভ্যালুর ওপর ২০ শতাংশ প্রিমিয়ামে (সর্বোচ্চ বিডিং সীমা) কর্মচারী ও অন্যান্যদের কাছে ১৫ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করবে, যা ২ বছর লক-ইন থাকবে।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্টস এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোনও প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।