নিজস্ব প্রতিবেদক: রাশিয়ার সাংবিধানিক আদালত ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষর করা চুক্তি বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর মধ্যেই রুশ বাহিনীর দখলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ শহর লিমান পুনরুদ্ধারের দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
৪টি অঞ্চল হলো- ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া। এই চার অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চুক্তিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের চার অঞ্চলের প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করেন তিনি।
গতকাল রোববার (২ অক্টোবর) এই চুক্তি রুশ ফেডারেশনের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে এর বৈধতা দিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
কিন্তু রুশ বাহিনীর দখলে থাকা দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লাইমান পুনরুদ্ধারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অঞ্চলটি থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করেছে বলেও দাবি করা হয়। লাইমান শহরে ইউক্রেনের পতাকাও উড়তে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ান সৈন্যরা দীর্ঘদিন ধরে শহরটিকে সরবরাহের পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। কিয়েভ বিশ্বাস করে যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর জন্য একটি বড় বিপর্যয় হতে পারে।
রবিবার, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবার স্থানীয় সদর দফতর লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য দিয়েছে। ইউক্রেনে মস্কোর নির্বিচারে মানুষ হত্যার সমালোচনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
এদিকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জার্মানির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বার্লিনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ইউক্রেনের বিষয়ে জার্মান সরকারের নীতির সমালোচনা করে এবং অবিলম্বে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানায়।