নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৯৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানি রয়েছে ২৯২টি এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের কোম্পানি রয়েছে আর্থিক খাতের ৩টি। আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো বিলম্বে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এ ২৯৫টি কোম্পানিরে মধ্যে ৩৯টি কোম্পানি ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে।
এ ৩৯টি কোম্পানির মধ্যে ৩৬টি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে। তবে তিনটি কোম্পানি মুনাফায় রয়েছে। কিন্তু মুনাফায় থাকলেও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়নি। এ তিনটি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে কে অ্যান্ড কিউ, জেনারেশন নেক্সট এবং বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম।
মুনাফায় থাকা কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড না দেওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলোর প্রতি কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড না দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকার পরও মনগড়া আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানিগুলো ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বছরের পর বছর ঠকাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।
এছাড়া, তালিকাভুক্ত আরও ১০টি কোম্পানি ২০২১ সালে বা তারও আগে থেকে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেওয়া বন্ধ রেখেছে। কোম্পানিগুলো ৩০ জুন, সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য এখনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। তবে কোম্পানিগুলোর ৯ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা হঠাৎ করে খারাপ দেখানো হয়েছে। কোম্পানিগুলোর এমন আচরণে বিনিয়োগকারীরা হতাশ ও ক্ষুব্দ। ডিভিডেন্ডের প্রত্যাশাতেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকেন। এ কোম্পানিগুলো বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করে চলছে। এ ১০টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এমবি ফার্মা, অ্যাপোলো ইস্পাত, বিডি ওয়েল্ডিং, সিএন্ডএ টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, ইমাম বাটন, নুরানী ডাইং, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রড, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আরএসআরএম স্টিল এবং ইয়াকিন পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।