নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে আমেরিকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের লালন-পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দুইজন পাকিস্তানে, কানাডায় একজন ও যুক্তরাষ্ট্রে একজন পলাতক রয়েছে। আরেকজন কখনও জার্মানি আবার কখনও ভারতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়। রাজনীতির সুযোগ দেয়া হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদেরও ধরে এনে অবশ্যই সাজা নিশ্চিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদককারবারীদের হাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিহতের ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা আর আমাদের বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যুক্তরাষ্ট্রর কোনো উদ্বেগ নেই।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, চিকিৎসা সেবা যাতে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রতি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা বলে, আমরা নাকি কিছুই করিনি। ষড়ঋতুর দেশ তো! যা করি, সব ভুলে যায়। তাই মানুষকে জানানো দরকার। ভুলে যাতে না যায়, সেজন্য যা করেছি তা মাঝেমধ্যে তুলে ধরি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর এমনভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে, মনে হয়েছিল যেন একাত্তরে পাকিস্তানিদের পাশবিকতার পুনরাবৃত্তি।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আগামী নির্বাচনের আগে এবারের সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে স্বাচিপ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সম্মেলনের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্ব আগামী দিনে সংগঠনকে করবে আরও গতিশীল। গঠনতন্ত্রে স্বীকৃতি না থাকলেও চিকিৎসা অঙ্গনে সরব স্বাচিপকে বিবেচনা করা হয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের সবশেষ সম্মেলন।