নিজস্ব প্রতিবেদক: নামতা বলতে না পারার কারণে ছাত্রকে যা শাস্তি দিলেন শিক্ষক, দেখে হতবাক অভিভাবক থেকে প্রশাসন। অভিযোগ, শাস্তি দিতে ছাত্রের হাতে দয়ালে ছিদ্র করার ড্রিল চালিয়ে দিলেন শিক্ষক! উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। বহিষ্কার করা হয়েছে শিক্ষককে। চলছে তদন্ত। কানপুরের প্রেমনগরের প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) স্কুলের গ্রন্থাগারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। তদারকি করছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। জানা গেছে, সে সময় গ্রন্থাগারের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল নয় বছরের ছাত্রটি। ওই স্কুলেরই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তাকে ডেকে দুইয়ের নামতা জিজ্ঞাসা করেন শিক্ষক। পারেনি সে। তাতেই চটে যান ওই শিক্ষক। ড্রিল দিয়ে শাস্তি দেন। জানা গিয়েছে, ছাত্রটির বাঁ'হাতে ড্রিল চালিয়ে দেন ওই শিক্ষক। পাশে দাঁড়িয়ে ছিল আর এক ছাত্র। সে ড্রিলের প্লাগটি টেনে খুলে দেয়। তাতেই রক্ষা পায় বাচ্চাটি। যদিও হাতটি জখম হয়েছে।
আহত ওই শিশু অভিযোগ করে বলেছে, ‘স্যর দুইয়ের ঘরের নামতা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি ঠিক করে বলতে পারিনি। তিনি আমার বাঁ হাতে ড্রিল যন্ত্র চালিয়ে দেন। আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছাত্র প্লাগটি টেনে খুলে দেয়। কিন্তু আমার হাতে চোট লেগেছে।’ অন্য শিক্ষকরা জানতে পেরে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাত্রটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ছাত্রটির এক আত্মীয় বলেন, ‘তাকে অ্যান্টি-টিটেনাস পর্যন্ত দেননি শিক্ষকরা।’ শুক্রবার বাবা-মাকে গোটা ঘটনা জানায় ওই ছাত্র। তারা স্কুলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভ জানান। এর পরেই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক (বিএসএ)-এর কাছে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আধিকারিক সুরজিৎকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটিও গড়া হয়েছে। ছাত্রটির পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন সুরজিৎ।