দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪'এ মাঠে নেমে শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতেই ছিল ব্রাজিল শিবির। আগের ম্যাচের শৈল্পিক ফুটবল উপহার দেওয়া তিতের শিষ্যরা প্রথমে দেখেশুনে আক্রমণের পথ বেছে নেন। যার কারণে ম্যাচের প্রথম দিকে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ব্রাজিল।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথমবারের মতো গোলের সহজ সুযোগ পায় ব্রাজিল। রাফিনহার মাঝমাঠ থেকে পাঠানো বল ডি-বক্সে পেয়ে যান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে তার দুর্বল আকৃতির শট গোলপোস্টের দিকে গেলেও কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সুইস গোলরক্ষক সোমার। বিরতির আগে রাফিনহাও একটি সুযোগ পান। তবে তা কাঙ্ক্ষিত জালের দেখা পায়নি। যার কারণে নির্ধারিত অর্ধের খেলা গোলশূন্যতেই শেষ হয়।
তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে ধার বাড়াতে পাকেতা ও ফ্রেডকে তুলে নিয়ে রদ্রিগো ও ব্রুনো গুইমারেসকে মাঠে নামান তিতে। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে বেশি সময়ও লাগেনি সেলেসাওদের। ৬৪ তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে কাসেমিরোর বাড়ানো বল ডি-বক্সে ফাঁকা স্থানে পেয়ে যান ভিনিসিয়াস। সুইস গোলরক্ষককে একা পেয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান এই তারকা। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি।
গোল না পেয়ে ফরোয়ার্ড লাইনে পরিবর্তন আনেন ব্রাজিল কোচ। আগের ম্যাচের তারকা রিচার্লিসন ও রাফিনহাকে তুলে নিয়ে অ্যান্টোনি ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে মাঠে নামান তিনি। এবার সুইজারল্যান্ডের রক্ষণকে ভেদ করে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ৮৩তম মিনিটে রদ্রিগোর সহায়তায় কাঙ্খিত সেই গোল করেন মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। শেষ দিকে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে জেসুস-রদ্রিগোরা। তবে আর জালের দেখা পায়নি। ফলে এক গোলের জয়েই মাঠ ছাড়ে নেইমারবিহীন ব্রাজিল।
সুইসদের হারিয়ে ‘জি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে নিয়েছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দুই ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট ৩। এছাড়া তলানির সার্বিয়ার সঙ্গে সমান এক পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তিনে রয়েছে ক্যামেরুন।