নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে এস আলম গ্রুপ ও ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানির নাম ব্যবহার করে চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা ঋণের ঘটনায় অর্থ পাচার হয়েছে কি না, সে বিষয়ে দুদক ও বিএফআইইউ’র তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ পাঁচজন।
দুদকের সচিব বলেন, ‘এখনও চিঠি আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবাদটি জানতে পেরেছি। এর পরই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান সচিব।’
গত ২৪ নভেম্বর দৈনিক পত্রিকায় ইসলামী ব্যাংকে অনিয়মের খবর প্রকাশিত হয়, নাবিল গ্রেইন ক্রপস লিমিটেডের ভুয়া ঠিকানা ও নাবিল গ্রুপের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে মার্টস বিজনেস লিমিটেড নামে কাগুজে কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলেছে।
এই খবর অনুয়ায়ী, এস আলম গ্রুপ একাই ৩০ হাজার কোটি টাকা।চলতি বছর ইসলামী ব্যাংক থেকে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তবে ১ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নেওয়ায় মাসটিকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
বুধবার এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে আইনজীবী শিশির মনিরকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে রিট আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট।