নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট খুবই ছোট। জিডিপিতে এর অবদান নামমাত্র। কোম্পানিগুলোর মূলধন সংগ্রহে ব্যাংক ঋণের উপর বেশী নির্ভর করায় এই বাজার গভীরতা পায়নি। বন্ডের কম সরবরাহ বন্ড বাজার বিকাশের জন্য অনুকূল নয়। একটি কার্যকরী বন্ড বাজার থাকলে, সরকার মেঘা অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। বন্ড মার্কেট থেকে সরকার সহজেই তহবিল সংগ্রহ করতে পারত বলে মনে করেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজার স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং প্লাটফর্মে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন-এর গতি বেগবান করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) গত ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, এর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে জুম প্লাটফর্মে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক, এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ, ডিলার এবং ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, বন্ডগুলি ইক্যুইটির জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। বন্ডগুলি যদি শেয়ারবাজারে ট্রেডিং হয়, তাহলে বন্ড মার্কেটের আকার বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে পণ্যের বৈচিত্র্যতাও আসবে। আর সেক্ষেত্রে শেয়ারবাজার জিডিপি বৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষমাত্রা অর্জনে সহযোগী খাত হিসেবে উন্মোচিত হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিএসই’র ট্রেনিং এন্ড এওয়্যারনেস বিভাগের প্রধান এম সাদেক আহমেদ তিনি সরকারি বন্ড ট্রেডিং-এর প্রেক্ষাপট ও এর সাম্প্রতিক সুবিধাদি সম্পর্কে অবহিতকরনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন।
সিএসইর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেড অফ আইটি মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, হেড অফ ট্রেক মার্কেটিং এন্ড সার্ভিসেস মোহাম্মাদ মরতুজা আলম, হেড অফ বিজনেস প্রোমোশন এন্ড মার্কেটিং মোহাম্মদ মনিরুল হক, হেড অফ সারভিলেন্স এন্ড মার্কেট অপারেসন্স নাহিদুল ইসলাম খান, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর সিডিএস অ্যাপ্লিকেশন এন্ড ট্রেনিং বিভাগের মইনুল হক প্রমুখ।