নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকট কর্মী সংকটে বড় রকমের বিপদে পড়েছে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি। মালয়েশিয়ার উল্লেখযোগ্য একটি আয়ের মাধ্যম পাম শিল্প। কিন্তু চলতি বছরে পাম বাগানগুলি শ্রমিকের প্রকট কর্মী সঙ্কটে রয়েছে।
মালয়েশিয়ার পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য মতে, কর্মী সংকটে চলতি বছর দেশটির পাম শিল্পে ২০ বিলিয়ন রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান মুদ্রা) অর্থাৎ ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। সূত্র- ব্লুমবার্গ।
চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার বিদেশি কর্মীকে মালয়েশিয়ার পাম বাগান কর্তৃপক্ষ ভাড়া করেছেন। কিন্তু এত অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে বাগান সামাল দেয়া এক রকমের অসম্ভব। ইতোমধ্যে ভাড়ায় খাটানো কর্মীদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক কর্মীকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মালয়েশিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি কর্মীদেরও অনুমোদন দেয়া হবে। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকার ধীর গতিতে যেভাবে কাজ করছে তাতে করে এ শিল্পে চলতি বছর বড় রকমের লোকসানের মুখ দেখতে হবে। ইতিমধ্যে অনেক বাগানে পাম ফল পাকলেও তা সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল নেই। এতে করে গাছে থাকতেই অনেক ফল পচে যাচ্ছে।
মূলত খাবার রান্না করা থেকে শুরু করে কসমেটিকস শিল্প ও জৈব ফুয়েলে পামের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কিন্তু পর্যাপ্ত পাম উৎপাদন না হওয়ায় বেড়ে গেছে এর দাম। একদিকে সরবরাহ সংকট, অন্যদিকে কর্মী সংকটে। শাখের করাতের মাঝে থাকা এ পণ্যটির দাম বাড়ছে হু হু করে। চলতি বছর সেপ্টেম্বরেই পামের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
এভাবে সংকট চলমান থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম বেড়ে যাবে। মালয়েশিয়ার গঠিত নতুন সরকারের কাছে চলমান সমস্যার সমাধান চেয়েছে দেশটির পাম শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে দেশের বাইরে থেকে জনবল আমদানির জন্য সরকারের সহযোগিতামূলক মনোভাবের দাবি বাগান কর্তৃপক্ষের।