নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫.২০ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬.২০ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত অক্টোবর মাসে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬.১০ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। এর আগে জুনে এক পূর্বাভাসে ৬.৭০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল তারা। যদিও চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
গ্লোবাল ইকোনমি প্রসপেক্টস-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ভুগছে। এ ছাড়া লাগাতার লোডশেডিংয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিকে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। ফলে ব্যাঘাত ঘটেছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে।
মূল্যস্ফীতির উচ্চহারে পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধি, অন্যদিকে জ্বালানি সংকটে কারখানার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
এদিকে ডলার সংকট সামাল দিতে কমিয়ে আনা হয়েছে আমদানি ব্যয় ও কঠোর করা হয়েছে মুদ্রানীতি। এতে সামগ্রিকভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমি প্রসপেক্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে বলা হয়, ২০২৩ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। যেখানে গত জুনে সংস্থাটি ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমার কারণ হিসেবে করোনা মহামারি ও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অস্থিরতাকে দায়ী করছে বিশ্বব্যাংক।