নিজস্ব প্রতিবেদক: বেশ কয়েক দিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহ বইছে সারা দেশে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মৌলভীবাজার। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় নাকাল জনজীবন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা হয়েছে এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) জেলার শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজারের আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান।
এদিকে শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। নিম্নবিত্ত, অসচ্ছল ও খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছে বিপাকে। হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে কাঁপছেন তারা। শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা। অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে প্রতিদিন আউটডোর ও ইনডোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিশ্বজিৎ দেব বলেন, শীতের প্রভাবে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার পাশপাশি শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ বাড়ছে।
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেলার ৬৭ ইউনিয়ন ও ৫ পৌরসভায় ৩৫ হাজার ২৮০টি কম্বল পাঠানো হয়েছে। প্রতি উপজাত ২ লাখ করে টাকা পাঠানো হয়েছে, শীতবস্ত্র কিনে দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আরও কম্বলের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পেলে বিতরণ করা হবে।
তীব্র শীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে হাওর চা বাগানসহ সর্বত্র জেলা প্রশাসনের কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।