আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স। জেসিন্ডা আরডের্নের পদত্যাগের পর তার স্থানে স্থলাবিসিক্ত হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডের্ন। এরপর ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিন্সকে দলের মনোনীত একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ জন্য তিনিই হচ্ছেন জেসিন্ডা আরডের্নের পরবর্তী উত্তরসূরি।
‘আমি মনে করি, আমরা একটি অবিশ্বাস্য শক্তিশালী দল মন্তব্য করে ক্রিস হিপকিন্স বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে এই প্রক্রিয়ায় এসেছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।’ লেবার পার্টি হিপকিন্সকে দলের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে হলে আগামীকাল (২২ জানুয়ারি) রোববার হিপকিন্সকে প্রতিনিধি পরিষদে দলের আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে। এ সমর্থন লাভের পর আরডের্ন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি গভর্নর জেনারেলের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। পরে গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে হিপকিন্স কত দিন থাকবেন—তা অনিশ্চিত। আগামী অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্রিস হিপকিন্স। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাকে কোভিডমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তার নেওয়া পদক্ষেপ দারুণ প্রশংসিত হয়।
গত বছরের মাঝামাঝিতে নিউজিল্যান্ডের পুলিশমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন হিপকিন্স। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা, জনসেবামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে সংসদে দলীয় নেতার পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।