নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে একেএম রহমতুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের) হওয়ার জন্য বলেছিলেন। তবে সেখানকার টেবিল, বাতাস থেকে শুরু করে সব চোর। এ কারণে আমি যায়নি। পরে আমাকে মন্ত্রী হওয়ার জন্যও বলেছিলেন, কিন্তু আমি তাতেও রাজি হয়নি।
গতকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রহমতুল্লাহ এসব কথা বলেন।
আমি কিন্তু ঢাকার এমপি জানিয়ে রহমতুল্লাহ বলেন, এখানে মোস্ট সিনিয়র এমপি মতিয়া আপা আছে, আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র ৫ থেকে ৬ জন আছে। আমার বয়স এখন ৭৫ চলছে। হ্যাঁ, ৭৬ চলছে। আমি আর ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য) একসাথ পড়তাম। আমার ছেলের বয়সই ৪৯। অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি পাঁচবারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন?
তিনি জানান, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব (অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) মারা যাওয়ার পরে মেয়র হওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। আমি আপারে বললাম, ওখানে যাব না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাব না। এরপর আমাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব কারণে আমি তখনও রাজি হয়নি।’
নিজের ব্যবসার বিষয়ে একেএম রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি ২ টা নামই বলব। একটা হলো এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। অন্যটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলে করছে। এটারও টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনো দেনা নাই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি (প্রকাশ্যে) বলব না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলব।’
এ সময় একেএম রহমতুল্লাহ বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি আহলে হাদিসের প্রধান উপদেষ্টা। সারা দেশে এর প্রায় আড়াই কোটি ভোটার আছেন। আমার চামড়ার সাপ্লাইয়ার ও তাদের পরিবার মিলিয়ে আছেন প্রায় ১ কোটির মতো। ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলা দূরের কথা, তারা আওয়ামী লীগের একটা সিটও নিতে পারবে না।’