নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা যে অপরাজনীতি করেছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা শেষে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সম্ভবত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে, এ জন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারা তো আগে মিছিল করত, এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে সম্ভবত তারা কারও কাছ থেকে নকল করছে। তবে বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যেই যাত্রাই করুক না কেন, তাদের এই যাত্রায় জনগণ তো দূরের কথা তাদের সাধারণ কর্মীরাও পদযাত্রায় শামিল হয়নি।’
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ‘এই দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার পছন্দ করুক সেটিই আমরা চাই।’
এর আগে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি শুভদিন, আনন্দের দিন। কারণ চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে চট্টগ্রামের মানুষও অনেকে ভাবেনি, এটি আমার জন্যও আনন্দের দিন। বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে বহুবার নিবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আজকে কোরিয়ান সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হতে যাচ্ছে।’
কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোইকা এই সম্ভাব্যতা যাচাই করবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ৭০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত এই স্টাডিতেই চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার উপযোগিতা, মেট্রোরেলের রুটসহ নানা বিষয় উঠে আসবে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কত অর্থের প্রয়োজন তারও হিসাব দেবে কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।