নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী দুই মাস রাত্রীকালীন সময়ে ৫ ঘন্টার জন্য প্লেন চলাচল বন্ধ থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কারকাজের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দরের এটিএম বিভাগ থেকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টা থেকে রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। ফলে প্রতিদিন রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সময়ের ফ্লাইটগুলোকে দিনের অন্য সময়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইন লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়বে। এ জন্য রাতে ৫ ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থার সংস্কারকাজ শুরু হবে। এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মাস রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। এমনিতেও এ সময় কুয়াশার কারণে ফ্লাইট চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এ কারণে লাইটিং ব্যবস্থা সংস্কার কাজের জন্য এ সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ে সাত-আটটি ফ্লাইট চলাচল করতো। সেগুলোকে দিনের অন্যান্য সময়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাময়িক এই চাপ ও অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এদিকে লাইট প্রতিস্থাপনকালীন আগে ও পরে অর্থাৎ সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা এবং রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ফ্লাইটের চাপ হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের যাত্রা সুগম ও নিরবচ্ছিন্ন করতে বিমানবন্দরের ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) ক্যাটাগরি-২-এ উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ইতোমধ্যে সিলেট বিমানবন্দরের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের শেষের দিকে চট্টগ্রামের কাজ শেষ হবে। ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শেষ হবে ৩ মাসের মধ্যে। এর যন্ত্রপাতিও চলে এসেছে। একই সঙ্গে লাইটিং ব্যবস্থারও উন্নয়ন করা হচ্ছে।
এয়ারলাইন-সংশ্লিষ্টরা বলেন, সেসব যাত্রীর এ সময়ে ফ্লাইট আছে তারা সরাসরি এয়ারলাইন অথবা এজেন্সি থেকে ফ্লাইটের পরিবর্তিত শিডিউল জেনে নিতে পারবেন। এ সময়ে যেসব ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন ঘটছে যাত্রীদের সেই তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে এয়ারলাইনগুলো। তবে জটিলতা হচ্ছে, বেশির ভাগ প্রবাসী টিকিট কাটার সময় নিজের ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা দেন না।