নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন বাঙ্গালী জাতির জন্য বড় বিপর্যয় আসবে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এজন্যই পাকিস্তানীদের শোষণের নাগপাশ থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির অস্তিত্ব সূচিত হয়।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় রামুর বঙ্গবন্ধু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন- ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। এমনি প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনিই কিছু বিপদগামী, ক্ষমতালোভী ও চক্রান্তকারীদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন তিনি। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক দেশটি হয়তো আলাদাভাবে পরিচিত হত বলে জানান মন্ত্রী।
নির্বাচন সন্নিকটে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা সরকারের তৈরি সেতুর উপর উঠেও সরকারের উন্নয়ন হয়নি বলে সমালোচনা করেন। তারা করোনার টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অথচ পরবর্তীতে মীর্জা ফখরুলসহ বিএনপির সব নেতারা টিকা নিয়েছেন।
উন্নয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার এখন আগের মতো নেই। স্বপ্নের মেট্রোরেল, এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বপ্ন পূরণে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। দেশের লাখো মানুষকে মুজিব বর্ষের ঘর উপহার দিয়েছেন। শেখ হাসিনার মেধাবী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। এখন খালি পা আর ছেঁড়া জামা পড়ার দৃশ্য দেখা যায় না, কুড়ে ঘরেও মানুষ থাকে না। মানুষের স্বপ্ন আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে সবাইকে রায় দিতে হবে।
রামু হাইস্কুলে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা। সভায় শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু উৎসবের সমন্বয়ক কক্সবাজার ৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল।