নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তার পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মিরপুর থেকে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, গতকাল শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে মিরপুর মডেল থানার দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী মন্তব্য করে ওসি বলেন, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তন্মধ্যে বল্লা শাহীন ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বল্লা শাহীন বাকিদের নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামের প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়েই প্রথমে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এ পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে অভিযোগ করে পরে বিভিন্ন সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান।
এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও তারা বিভিন্ন গালাগাল করেন। এ সময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে জানালে বল্লা শাহীন ও তার পুরো দলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা গতকাল ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সাজলেও এর আগে অন্য বেশে চাঁদাবাজি করেন। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেন! এ ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বল্লা ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জানিয়ে ওসি মহসীন বলেন, এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে। সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি। এবং মো. ইউসুফ চৌধুরী, মো. আব্দুল আলিম, মো. মামুন কাজী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও রাহাতের বিরুদ্ধেও দুইটি করে মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত বল্লা ও তার সহযোগীদের আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে এক দিনের রিমান্ড প্রদান করা হয়।