নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের কিছু বিদ্যুৎ কোম্পানি জানাচ্ছে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বড় অঙ্কের লোকসান করেছে তারা। লোকসানে থাকা এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- খুলনা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এবং শাহজীবাজার পাওয়ার। তবে এমন খবরের বিপরীতে সরকারি তেল কোম্পানি মুনাফা বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে। বেসরকারি সাত বিদ্যুৎ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত।
কোম্পানিটিগুলোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বারাকা পতেঙ্গা ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৮৫ পয়সা চলতি বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৫৭ পয়সা।
একইভাবে গত হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে শাহজীবাজারের যেখানে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ১৯ পয়সা মুনাফা করে, সেখানে এই ছয় মাসে ৯৫ পয়সা হারে লোকসান করেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ অক্টোবর-ডিসেম্বর'২২ প্রান্তিকেই ১ টাকা ৩৮ পয়সা লোকসান করেছে।
আর খুলনা পাওয়ার জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা লোকসান করেছে। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল শেয়ারপ্রতি ১৮ পয়সা বা নিট ৭ কোটি টাকা লোকসান করে।
লোকসানের জন্য কোম্পানিগুলো মূলত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্থিরতাকে দায়ী করে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার জানিয়েছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ফার্নেস অয়েল আমদানির জন্য ৯৬ বা ৯৭ টাকা করে দরে আমদানি বিল হিসাব করা হলেও ডলার কিনতে হয়েছে ১০৬ থেকে ১০৭ টাকা করে। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে ডলারে যে বিল পাওয়া গেছে, তার দর ছিল কম। এ কারণে লোকসান হয়েছে।
অবশ্য সর্বশেষ অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে নির্ধারিত রেট অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হওয়ার কারণে লোকসান হয়নি। বরং শেয়ারপ্রতি ৭০ পয়সা। প্রায় একই বক্তব্য শাহজীবাজার পাওয়ারের।
এ কারণের বাইরে খুলনা পাওয়ার বলছে, পুরোনো ১১০ মেগাওয়াটের বার্জ মাউন্টেন্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিক্রি করায় বুক ভ্যালু ও বিক্রি মূল্যের পার্থক্যের কারণে এ লোকসান হয়েছে।
এদিকে মেঘনা পেট্রোলিয়াম জানিয়েছে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৬ মাসে তারা শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা ৪ পয়সা মুনাফা করেছে, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৭৪ পয়সা।