নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার শৈলমারি গ্রামে। মা আলতাফুন্নেছাকে (৫৮) হত্যার দায়ে ছেলে আবু বকর আকন্দকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আকন্দকে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবু বকর বগুড়ার ধুনট উপজেলার শৈলমারী গ্রামের মৃত হবিবর আকন্দের ছেলে।
জানা যায়, আবু বকর একজন নেশাগ্রস্ত ভবঘুরে। ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাত ১০টার সময় তার বৃদ্ধা মা আলতাফুন্নেছাকে (৫৮) ভাত দেওয়ার জন্য ডাকেন। সে সময় আলতাফুন্নেছা তার ছেলেকে বলেন, ‘তুই নিজেই ভাত নিয়ে খা’। এতে আবু বকর ক্ষিপ্ত হয়ে তর্ক শুরু করে। এক পর্যায়ে সে হাতের কাছে থাকা ইউক্যালিপ্টাসের গাছের ডাল দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারান আলতাফুন্নেছা। এরপর আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরদিন ১৩ অক্টোবর আলতাফুন্নেছাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় আসামির আপন বড় ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে বগুড়ার ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর গত ২০১৫ সালের ১৬ তারিখে আসামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রোববার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নাসিমুল করিম হলি জানান, আসামি গ্রেপ্তারের পর থেকেই জেলহাজতে ছিল। বোরবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আসামি তার দোষ স্বীকার করায় আদালত এই সাজা দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. কামাল উদ্দীন।