আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৮০০-এ দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কে এক হাজার ১৪ জন এবং সিরিয়ায় ৭৮৩ জন মারা গেছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শত শত মানুষআটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়া—উভয় দেশের ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এ ছাড়া এই ভূমিকম্পে দুই দেশে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ভূমিকম্পে তুরস্কে ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। শহরগুলোর ‘ব্যাপক ধ্বংস’ হয়েছে। প্রায় ২ হাজার ৮১৮টি ভবনধসে গেছে। আশা করি একসঙ্গে আমরা এ বিপর্যয় শিগগিরই কাটিয়ে উঠতে পারব।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, ভূমিকম্পে দেশটির গাজিয়ানটেপ ও কাহরামানমারস প্রদেশের প্রায় ৯০০ ভবন ধ্বংস হয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর ইস্কান্দারউনে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি। দুর্ভাগ্যবশত ভূমিকম্পের এই সংকটকালে আমরা কঠোর আবহাওয়ারও মোকাবিলা করছি।
গার্ডিয়ান জানায়, সিরিয়ার আলেপ্পো ও হামা শহর থেকে তুরস্কের দিয়ারবাকির পর্যন্ত উত্তর-পূর্বে ৩৩০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত এলাকার ভবনগুলো ভূমিকম্পে ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।