নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় থাকা ৫১ পরিবারের ২৭০ জনকে কক্সবাজার জেলার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরআরআরসির নিজস্ব বাহনে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার আরআরআরসি শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের সমন্বয়ে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মিজানুর বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন সরিয়ে নেওয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত ছিল। যাদের ডাটা আছে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করা ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথম পর্যায়ে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জিরো লাইনে মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তুমব্রুর এপারে আশ্রয় নেয়।