নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে হওয়া সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য নসরুল হামিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাপান-বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সবসময় সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাইকা কাজ করবে। গ্যাস মিটার তৈরিতে জাপানিজ কোম্পানি অনুদা'র সাফল্য দেখে জাপানের আরও অনেক ছোট-বড় কোম্পানি কাজ করতে আসবে বাংলাদেশে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করবে।
প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পরিকল্পনা অনুসারে গৃহীত প্রকল্পসমূহে আগামী পাচঁ বছরে আরও ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। যৌথভাবে একটি অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেনেন্স কোম্পানি করা যেতে পারে। এতে বাংলাদেশের অর্থ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান করার জন্য জাইকা সহযোগিতা করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা দরকার, যা সব খাতকে নেপথ্যে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জ্বালানি খাতের (গ্যাস ও তেল) বিস্তারিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জাপান সহযোগিতা করতে পারে।
এ সময় মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, ভূগর্ভস্থ তার ও সাব-স্টেশন, প্রিপেইড মিটার, স্মার্ট মিটার, গ্যাস মিটার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আগত প্রকল্পসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।