নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় (ভ্যাট) প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অর্থমন্ত্রী তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছে। এবং চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সব সংস্কারমূলক কাজের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সময় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট প্রদান করে। কাজেই, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বাজেট সাপোর্ট গ্রহণ করছে বিষয়টি এ রকম নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
সরকার দলীয় এমপি এম আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে ৩ লাখ ১ হাজার ৬৩৩ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০২০-২১) থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৯৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
সরকার দলীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও আলী আজমের পৃথক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধি করার কোনো পরিকল্পনা আপতত নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে।
বাংলাদেশের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি সহায়তা করার নিমিত্তে কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা নেই। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমনটি জানান।
নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করে যাচ্ছে। এনবিআর আশা করে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে।