নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে বিদেশি আপেল-কমলার দাম যেমন আকাশছোঁয়া, তেমনি দাম বাড়ছে দেশে উৎপাদিত কলা, তরমুজ, আনারসসহ নানা দেশি ফলের। এই বাড়ন্ত দামের কারণে এবার ইফতারির তালিকা থেকে অনেককেই ফল বাদ দিতে হবে করতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডলার সংকটের কারণে গত ২৩ মে ফুল, ফল, প্রসাধনী ও আসবাবপণ্য আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করে। সাধারণত আপেল, আঙুর, লেবুজাতীয় ফল, ডুমুর, আনারস, পেয়ারা, আম, বাদাম, অ্যাভোকাডোসহ নানা জাতের ফল আমদানি করা হয়। এসব ফলে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
শুল্ক বাড়ানোর কারণে ফলের আমদানি খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে অনেকেই এলসি বা ঋণপত্র খুলতে পারেনি। এ কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। যদিও দেশি ফলের দাম বাড়ার কোনো কারণ জানাননি ব্যবসায়ীরা।
বাজারে দেশি-বিদেশি সব ধরনের ফলের দাম চড়া। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কেজি গালা আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। এই ধরনের আপেলের কেজি মাসখানেক আগেও ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে চায়না ফুজি আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। ২ মাস আগে সবুজ আপেলের দাম ছিল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। এই ধরনের আপেলের কেজি কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। মাল্টার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, যা আগে পাওয়া যেত ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে।
মাসখানেক আগে সাদা আঙুর বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকার আশপাশে। এখন কিনতে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে। কালো আঙুরের কেজি বিক্রি হয়েছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। দাম বেড়ে হয়েছে এখন ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়ে নাশপাতির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এক-দেড় মাস আগে এ ফলের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একসময় কমলা ডজন হিসেবে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হয় কেজি দরে। প্রতি কেজি কমলার দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা মো. বোরহান বলেন, দাম বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষ কম কিনছে। আগে যিনি দুই-তিন কেজি করে আপেল-মাল্টা কিনতেন এখন এক কেজির বেশি কিনতে চান না। কেউ কেউ এমনভাবে মুলামুলি করেন বিরক্ত হয়ে যাই।