বিনোদন ডেস্ক: পুলিশের করা মামলায় ওমরা হজ থেকে দেশে ফিরে ১৮ মার্চ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে গ্রেফতারের সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
অন্তঃসত্ত্বা মাহিকে এভাবে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেওয়ায় উঠেছে সমালোচনা। তার অনেক সহকর্মী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা মাহি সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপনারা জেনেছেন উনি বেইল পেয়েছেন। আমি এটুকু বলতে পারি যেহেতু মামলা হয়েছে, কারও প্রতি কোনো অন্যায় হবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করব।
গত ১৭ মার্চ ভোরে ফেসবুক লাইভে তার স্বামী রাকিব সরকারের ‘সানিরাজ কার প্যালেস’ নামে গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন মাহি। এ সময় মাহি বলেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। তারা শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব, দরজা-জানালা, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করছে। শোরুমের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছে। অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের প্রতিপক্ষ ইসমাইল ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে ওই শোরুম দখল করে নিচ্ছে। আর এই কাজে সহযোগিতা করেছেন জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম প্রতিপক্ষের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা ‘ঘুষ’ নিয়ে তাদের গাড়ির শোরুম দখল করে দিচ্ছেন।
২৫ মিনিটের বেশি সময়ে ফেসবুক লাইভে তিনি লোকজনকে ডেকে আনেন এবং পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিভিন্ন কথা-বার্তা বলেন। এ সময় মাহির স্বামী রাকিব সরকার পাশেই ছিলেন। এর পর তিনি ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন এই হামলা নিয়ে।
পরদিন ১৮ মার্চ দুপুরে জিএমপি কমিশনার তার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে প্রেস ব্রিফিং করে উল্লেখিত বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, চিত্রনায়িকা মাহিয়া তার ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও আমাকে জড়িয়ে ব্যক্তিগত বিষোদগার করেছেন। যা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে খুন, ধর্ষণ ও অস্ত্র আইনের মতো গুরুতর অভিযোগে ৩টি মামলার ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। বিষয়গুলো খতিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপরই মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে।