নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজায় রাজধানীর ২০টি স্থানে স্বল্প মূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসব জায়গায় ৬৪০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস, ৯৫০ টাকায় খাসীর মাংস, ১২০ টাকায় এক ডজন ডিম ও ৮০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় রাজধানীর খামারবাড়ির প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রজমানের এই ২৮ দিন গরুর মাংস ৬৪০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা কেজি, ড্রেসড ব্রয়লার ৩৪০ টাকা কেজি, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিমের হালি ৪০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হবে। রাজধানীর ২০টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, দাম বাড়ার জন্য মুনাফালোভি ব্যবসায়ীরা দায়ী। তাদের কারণে বাজার অস্থির হয়েছে। আর এর জন্য মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দায়ী করেছে ডেইরী ফার্ম মালিক সমিতি।
তিনি বলেন, ৬৪০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করেই ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারছেন। কিন্তু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারণে দাম কমছেনা। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।
অন্যদিকে ডেইরি খামার মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বাজারে যে গরু বিক্রি হয় সেটি দুই থেকে তিন হাত ঘুরে কসাইয়ের হাতে পৌছায়। মাঝের মধ্যস্বভোগীদের অতিরিক্ত মুনাফা করাতেই বাজার অস্থির বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রমজানে মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি ভোক্তারা যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যেসব স্থানে চলবে কার্যক্রম
সচিবালয়সংলগ্ন আব্দুল গনি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার (বাড্ডা), মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বসিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর এবং রামপুরায় এ বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রির জন্য পিকআপ সুসজ্জিত কুলারভ্যান ব্যবহার করা হবে। সকাল ৯ টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলারভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে।