আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ড হয় ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের নেতা রাহুল গান্ধীর। দণ্ডের একদিন পরেই লোকসভায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এমপি পদ হারালেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব তথ্য জানিয়েছে লোকসভা সচিবালয়।
রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাদ আসনের লোকসভার সদস্য। তাকে চুপ করাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
বার্তা সংস্থা এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহুলের আসন শূন্য ঘোষণার ফলে এখন যে কোনো সময় ওই আসনে বিশেষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে মানহানির মামলায় বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের একটি আদালত। তবে আদালত তার ৩০ দিনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া আপিল করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে তাকে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে এই নেতা তুলেছিলেন, ‘সব চোরের পদবি “মোদি” হয় কেন?’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাংক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি।
ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে মানহানির মামলা করেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সে মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পূর্ণেশ মোদি মামলায় অভিযোগ করেন, রাহুলের এই বক্তব্যের মাধ্যমে ‘মোদি’ পদবির সব মানুষের অপমান হয়েছে।
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ৮ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো সংসদ সদস্য কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন, আর কমপক্ষে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন, তাহলে তার পদ খারিজ হবে।