নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির শেয়ার দর কোনো সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া বাড়ার কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোম্পানিগুলো হলো-লিগ্যাছি ফুটওয়্যার, আলহ্বাজ টেক্সটাইল, এডিএন টেলিকম, রূপালী লাইফ ও শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
প্রথম দফায় রূপালী লাইফ, এডিএন টেলিম ও আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। পরবর্তীতে লিগ্যাছি ফুটওয়্যার ও শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে সতর্কবার্তা জারি করে ডিএসই।
আলহাজ্ব টেক্সটাইল: গত ০৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ১৩২ টাকা ৩০ পয়সা। গত ৯ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ টাকা ৪০ পয়সায়। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫২ টাকা ১০ পয়সা বা ৩৯.৩৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১২ পয়সা।
লিগ্যাছি ফুটওয়্যার: গত ১৯ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৪২ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ২০ পয়সায়। চার কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। এদিন মোট ৫ লাখ ১১ হাজার ২৭০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১১ পয়সা।
শ্যামপুর সুগার: গত ১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৬৪ টাকা ১০ পয়সা। গত ২৩ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সায়। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫০.৫৪ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শ্যামপুর সুগারের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৬ টাকা ৬৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪৪ টাকা ১৫ পয়সা।
এডিএন টেলিকম: গত ০২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১০৪ টাকা ৯০ পয়সায়। গত ৯ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়েয়েছে ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সায়। দুই মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৫৮.৭২ শতাংশ। তবে সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫২ টাকা ৭০ পয়সায়।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এডিএন টেলিকমের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা (এককভাবে)।
রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স: গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ৮৭ টাকা ৮০ পয়সা। আর ১৫ মার্চ ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮ টাকা ৬০ পয়সায়। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩০ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩৫.০৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ৮৯ টাকা ৭০ পয়সায়।
সর্বশেষ ২০২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির জীবন বীমা ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১১ মিলিয়ন টাকা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ৭৮ মিলিয়ন টাকা।
তবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোন কোম্পানির শেয়ার দর বাড়লে ডিএসই তথাকথিত সতর্কবাতা জারি করার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু শেয়ার দর যখন অস্বাভাবিক পতনের ধারায় থাকে, তখন আর টু-শব্দ করে না।
হাবিবুর রহমান নামের এক বিনিয়োগকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর যখন এক শটাকার নিচ থেকে এক হাজার টাকায় গেল, তখন ডিএসই বারংবারসতর্কবাতা জারি করেছে। কিন্তু শেয়ারটির দর যখন এখন টানা পতন হয়ে তিন মাসে ২৫০ টাকার ঘরে নেমে এসেছে, এখন ডিএসই’র কোনো রা-শব্দ নেই।