নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায়।’ তিনি বলেন, অতীতে আমরা কখনই পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের ঘোষণা দেখি নাই। সবাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে। রমজানে ইফতার পার্টি হয়, সেখানে কথাবার্তা হয় এবং অন্যান্য কর্মসূচি হয়। বিএনপির কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা রমজানের পবিত্রতাটাও নষ্ট করতে চায়।
শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা পবিত্র রমজান মাসে বিএনপির নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার বিষয় তুলে ধরলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি রমজানেও মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, রমজানের পবিত্রতা নষ্ট এবং একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা তারা করছে, যেটি অনভিপ্রেত।
তিনি বলেন, এ সময় দেশে পণ্যের যথেষ্ট মজুত থাকার পরেও যারা দাম বাড়াচ্ছে তারা গণবিরোধী। দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ আসলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে রমজানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমদানিনির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদননির্ভর পণ্যসহ সমস্ত পণ্যের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন। ফলে খাদ্যপণ্যের মজুত এখন শুধু যথেষ্টই নয় বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এবং রমজানে দামবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে- দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুত থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে বিশ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য চাল, গম এবং ভোগ্যপণ্যের মজুত রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। এরপরেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি যারা করবে তারা আসলে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে এটা আপনারা দেখেছেন। বাজার মনিটর করা হচ্ছে। এটি খুব সহসা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাব।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মতো কখনো পণ্যের সংকট তৈরি হয়নি উল্লেখ করে গণমাধ্যমকেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, যাতে কেউ এই ধরনের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে যেন পণ্যের মূল্য বাড়াতে না পারে, এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রিপোর্টিং করাসহ গণমাধ্যমও ভূমিকা রাখতে পারে।