নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ট্রেনের শতভাগ টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইনে। ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৭ এপ্রিল থেকে। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য এনআইডি দিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে। টিকিট ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে মিলবে রিফান্ডও। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যাত্রী সাধারণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। শুধু অনলাইনে ট্রেনের টিকিটি কিনতে পারবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া বর্তমানে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা ও অনলাইনের মাধ্যমে কেনা টিকিট অনলাইনে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
যাত্রীদের প্রতি নির্দেশনা ও শর্তাবলি ১. আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীরা দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন করবেন।
২. নিবন্ধনের জন্য মোবাইলফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বিআর <স্পেস> এনআইডি নম্বর <স্পেস> জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট- জন্ম সাল/মাস/দিন) লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
৩. বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা ‘রেল সেবা’ আ্যাপ -এ সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ ভেরিফাই-পূর্বক অন্যান্য তথ্য দেওয়া সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৪. অন্য দেশের নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
৫. ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
৬. সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন না। স্ট্যান্ডিং যাত্রীদের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
৭. একজন যাত্রী চারটির বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না। তবে অনলাইনে টিকিট কেনার সময় সহযাত্রীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নম্বর লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৮. ভ্রমণের সময়ে যাত্রীকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি/সফটকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর নাম ও এনআইডি নম্বর যাত্রী কর্তৃক প্রদর্শিত পরিচয়পত্রের সঙ্গে না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।