নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ‘মাহে রমজান’ নামের একটি ইসলামিক গান গেয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
রোববার বিকেলে ইসলামিক সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘স্টুডিও ওয়ান’ থেকে গানটি প্রকাশ করা হয়।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ইতিবাচক কাজে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হিরো আলমের প্রশংসা করছেন অনেকে।
জানা গেছে, হিরো আলমের গাওয়া ইসলামিক গানটির কথা লিখেছেন আবদুল কাদের হাওলাদার। সাউন্ড ডিজাইন করেছেন মাহদী হাসান। ভিডিও এডিটিংয়ে ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান। আর গানটির প্রযোজক সিরাজুল ইসলাম আকন।
হিরো আলম তার ইসলামিক গানটি নিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় পবিত্র রমজান মাসে 'মাহে রমজান' নামে একটি ইসলামিক গান করেছি। আশা করি আমার এই ইসলামিক গানটি শ্রোতারা গ্রহণ করবেন। তা ছাড়া সবাইকে গানটি শোনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
হিরো আলম আগামী দিনে আরও ইসলামিক গানে কণ্ঠ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আর আমি যার সাথে কাজ করছি তিনি অনেক ইসলামিক গানের গীতিকার, সুরকার ও মিউজিক অ্যারেঞ্জার।’
স্টুডিও ওয়ানের সিইও সিরাজুল ইসলাম আকন বলেন, ইসলামিক গানের প্রতি হিরো আলমের অনেক আগ্রহ। তার কণ্ঠের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা দর্শকদের ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমরা এতে সফল হয়েছি। হিরো আলমের এই গানটি শ্রোতারা বেশ পছন্দ করেছেন।
শৈশবের স্বপ্ন পূরণে সিরাজুল ইসলাম আকন রাজধানীর সাইনবোর্ডে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে একটি মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান স্টুডিও ওয়ান তৈরি করেছেন। স্টুডিও ওয়ান বর্তমানে ১৫ জন কর্মী নিয়োগ করছে। তাদের ২৫ জন নিয়মিত শিল্পী রয়েছে।
স্টুডিও ওয়ানের রেকর্ডের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি অন্যান্য স্টুডিও থেকে রেকর্ডের মান আরও ভালো করার। দেশে যতজন ইসলামিক মিউজিক রেকর্ডের জন্য নামকরা সাউন্ড ডিজাইনার, আমাদের স্টুডিও ওয়ানের মাহদি হাসান তাদের মধ্যে একজন। মাহদি হাসান প্রতিটি কাজ অত্যন্ত দক্ষতা ও নিপুণতার সাথে করেন। যার কারণে তার কাজগুলো ভালো হয়।’
স্টুডিও ওয়ানের সিইও সিরাজুল ইসলাম আকন আরও বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অনেক গুণী শিল্পী রয়েছে। আমরা মূলত তাদের সাথে কাজ করতে চাই যারা নির্দেশনার অভাবে বা আর্থিক অসুবিধার কারণে তাদের প্রতিভা প্রকাশ করতে অক্ষম।