নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা চলাকালে নারী শিক্ষার্থীদের মুখ ও কান খোলা রাখার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ নয়–জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ভুক্তভোগী তিনি শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
রিট আবেদনে ঢাবি ভিসি ও বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের কানসহ মুখ খোলা রাখার নির্দেশ এবং তা না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা চলাকালে মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, একাডেমিক কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে ক্লাস, প্রেজেন্টেশন ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র নির্বিঘ্নে হিজাব-নিকাব পরার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান ছাত্রীরা। িই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন তারা।