নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়টি হচ্ছে রোজা। তাই পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ মাসজুড়ে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় রোজা রাখেন। ইবাদতে মশগুল হন। দান-সদকা করেন।
এই রোজা পালনের কিছু বিধিবিধান রয়েছে। সেসব পালন না করলে রোজা মাকরুহ বা ভেঙে যেতে পারে। তাই সবরকম বিধিবিধান মেনে অত্যন্ত পবিত্রতার সঙ্গে রোজা পালন করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ছোটখাটো কিছু ভুল থেকে শুরু করে বড় বড় কিছু কাজে রোজা মাকরুহ হয়ে যেতে পারে। এর পবিত্রতা নষ্ট হতে পারে।
যে ১৪ কারণে রোজা মাকরুহ হয়-
১. ইফতারের সময় আপনি যদি এমন কোনো খাবার খান যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম, তাহলে আপনার রোজা মাকরুহ হবে।
২. কারণ ছাড়াই কোনো কিছু চিবাতে থাকলে রোজা মাকরুহ হবে।
৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নিলে রোজা মাকরুহ হয়। আর এসব করার সময় পেটে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যায়।
৪. কোনো কিছু শুধু মুখে পুরে রাখলেন তবে খেলেন না তাতেও রোজা মাকরুহ হবে।
৫. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুতু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে।
৬. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায়।
৭. সারা দিন শরীর নাপাক অবস্থায় রাখলেও রোজা মাকরুহ হবে।
৮. মুখে গুল ব্যবহারে রোজা মাকরুহ হয় এবং থুতুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে।
৯. রোজা রেখে কারো গিবত করলে বা পরনিন্দা করলে রোজা মাকরুহ হয়।
১০. রোজা রেখে ঝগড়া-বিবাদ করলে রোজা মাকরুহ হবে।
১১. রোজা রেখে মিথ্যা বললে রোজা মাকরুহ হবে।
১২. যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতেও রোজা মাকরুহ হয়।
১৩. নাচ, গান, সিনেমা দেখা ও তাতে মজে থাকলে রোজা মাকরুহ হয়।
১৪. রান্নার সময় রোজাদার কোনো কিছুর স্বাদ নিলে, লবন চেখে দেখলে, ঝাল পরীক্ষা করলে মাকরুহ হয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সেটা যদি করতেই হয়, তাহলে বৈধ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।