নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান এবং তৎপরতার কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। অন্যান্য বছরগুলোতে রোজায় ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা গেলেও চলতি বছরে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ব্রয়লারের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়ে যাওয়ার ফলে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। আমরা এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর ফলস্বরূপ ব্রয়লার এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে।
তিনি জানান, রোজায় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করছে। বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসজুড়ে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ক্রেতাদের একবারে বেশি পণ্য না কেনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভোক্তাদের বলব আপনারা প্যানিক বায়িং করবেন না। বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
কোথাও প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দাখিলের অনুরোধ জানিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রত্যেকটি অভিযোগের শুনানি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় পোশাকের স্টিকার পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে এবারের ঈদে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে- এজন্য আমরা আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করব। কোনো বিক্রেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর ৪টি বড় পোল্ট্রি কোম্পানি কাজী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে এই ৪ কোম্পানি মুরগির দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এরপর খুচরা পর্যায়ে পোল্ট্রি মুরগির দাম কমতে শুরু করে।