নিজস্ব প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক জানিয়েছেন, ঘোষণার চেয়ে অধিক দরে ডলার ক্রয়ের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সোমবার (২৭ মার্চ) এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শন শুরু করবে।
মো. মেজবাউল হক জানান, যে তথ্য এসেছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। একটি দর ঘোষণা করে আরেক দরে ডলার বেচাকেনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এলসি খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি লাগে না। শুধু ৩০ লাখ ডলারের বেশি এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হয়। কোনো ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দরে প্রবাসী রেমিট্যান্স কেনার কথা জানালেও ১১৩ টাকা পর্যন্ত দরে কিনছে কোনো কোনো ব্যাংক। সরকারি মালিকানার দুটিসহ অন্তত ১২টি ব্যাংক আগ্রাসীভাবে বাড়তি দরে ক্রয় করছে। এভাবে ক্রয়কৃত ডলার আমদানিকারকের কাছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। যদিও ব্যাংকগুলো কাগজে-কলমে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকার বেশি দেখাচ্ছে না। বাড়তি অংশ কখনও অনানুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি এক্সচেঞ্জ হাউসের প্রতিনিধিকে পরিশোধ করা হচ্ছে। কখনও ‘অন্যান্য খাতের ব্যয়’ দেখানো হচ্ছে। একইভাবে আমদানিকারকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে তা ‘অন্যান্য খাতের আয়’ হিসেবে সমন্বয় করা হচ্ছে। এভাবে ব্যাংকের ভেতরেই ডলারের একটি কালোবাজার সৃষ্টি হয়েছে।