নিজস্ব প্রতিবেদক: জাকির হোসেন অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়ে নিজেই হয়ে ওঠেন প্রতারক। ফেসবুকে কম রেটে ডলার বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন।
এরপর ডলার বিক্রির টাকা নিয়ে বন্ধ করে করতেন যোগাযোগ। এক সময় জমির দালালি করা এই প্রতারককে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানতে পারে ফ্রিল্যান্সাররাই ছিল তার মূল টার্গেট।
সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ইহসান ইফতেখার লাবীব একজন ফ্রিল্যান্সার। অনলাইনে পেমেন্ট করতে গিয়ে হঠাৎ তার কিছু ডলার প্রয়োজন হয়। ফেসবুকে ডলার বিক্রির পোস্ট দেখে যোগাযোগ করেন পোস্টদাতার সঙ্গে। ৩০০ ডলারের জন্য ৩০ হাজার ৯০০ টাকা বিকাশে পাঠান পোস্টদাতাকে। ফলাফল সঙ্গে সঙ্গে ব্লকড।
এই রকম বেশকিছু অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ ওই পোস্টদাতার সন্ধানে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পান। ফেসবুকে পাওয়া যায় বিভিন্ন নামে জাকিরের ২৬টি অ্যাকাউন্ট। এসব অ্যাকাউন্টে তিনি মূলত ডলার বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করতেন।
এক সময় জমির দালাল জাকির কখনও আবার বাউল সাধক হিসেবেও পরিচয় দিতেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, নিজে অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার পর তার মাথায় আসে দুষ্টবুদ্ধি।
প্রথমে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে করেন প্রতারণা। পরে পেশা হিসেবে বেছে নেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়; আপাতত সপ্তাহখানেক এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ রেখে অন্যটি দিয়ে কাজ চালাত।
গত কয়েক মাসে এই ধরনের কাজ করে ৬০ থেকে ৭০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেন তিনি। অনুসন্ধানে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।