নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে। একই মামলায় পত্রিকাটির সাভারে কর্মরত নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে রমনা থানায় আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ প্রসঙ্গে রমনা থানায় কর্তব্যরত এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়। পরিদর্শক আবু আনছারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এমনকি এজাহারের কপি দিতেও অস্বীকৃতি জানান।
এর আগে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে সাভারের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক যে খবরটি করেছেন, সেটা যে সঠিক ছিল না, তা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে আপনারাই প্রকাশ করেছেন। আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরাই সেটা বলেছেন। এই সংবাদটা যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাপানো হয়েছে, সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ওই টিভিতে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আইন কিন্তু নিজস্ব গতিতে চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায় বা সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা করেন, সে অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিতেই পারে। স্বাধীনতা দিবসে, আমরা এতদূর এগোনোর পর এ ধরনের একটা ভুয়া খবর যদি কেউ দেয়, তাহলে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারে, আপনিও হতে পারেন। এ খবরটা আপনাদের কাছেও নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি।
রাষ্ট্রের আপত্তির কারণে কারণে কি সাংবাদিককে তুলে নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের আপত্তি নয়। আমি তো বলছি, একটি মামলা হয়েছে। তবে সব সংবাদ এখনো আমার কাছে আসেনি। আমার কাছে যে টুকরো টুকরো সংবাদ আসছে, সেটার ভিত্তিতে আমি আপনাদের বলেছি। সব বিষয়ে সুনিশ্চিতভাবে বলতে হলে আমাকে আরও একটু সময় দিতে হবে। আমাকে সব বিষয়ে জেনে বলতে হবে।
এর আগে গত ২৬ মার্চ সাভার থেকে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘চাল, মাংসের স্বাধীনতা চাই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। আলোচিত সেই প্রতিবেদনে ‘ভুলক্রমে’ জাকির নামে এক দিনমজুরের উক্তির সঙ্গে এক ফুল বিক্রেতা শিশুর ছবি দেয়া হয় বলে পরে সংবাদমাধ্যমটি জানায়। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলে প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হয় এবং ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ছবিটি মুছে দেয়া হয়।