নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় ভাসুরকে ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগের দিন বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাকরি জীবনে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর দেখিনি’
নিহত শারমিন আক্তার মনি প্রবাসী মাসুদ আলমের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ওই গ্রামের মনতাজুর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৫)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
নিহত শারমিন আক্তার মনির ভাই সালেহ আহমেদ বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে মাসুদ আলমের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এই ভাসুর ছোটখাটো ব্যাপার নিয়েও বারবার আমার বোনকে মারধোর করেছে।
মারধোরের বিষয়ে সালিশে তিনি কয়েকবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এতে বোন মনির প্রতি তার আরও রাগ হয়।
বুধবার সকালে কাপড় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর বাড়ির পাশের বিক্রেতার কাছ থেকে মাছ কিনছিলেন মনি।
এই সময় খোরশেদ বাড়ি থেকে একটি ধারালো ছুরি এনে মনিকে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসি শফিউল আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় নিহতের ভাই সালেহ আহমেদ বাদী হয়ে খোরশেদ আলমকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শাহপুর এলাকা থেকে খোরশেদ আলমকে আটক করা হয়।