আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পুলিশের কাছে এখন খালিস্তানি নেতা অমৃতপালের মতোই ওয়ান্টেড বাংলাদেশের রাজধানীর ই-অরেঞ্জ এর কর্ণধার সোহেল রানা। পার্থক্য একটাই- ওয়ারিশ পাঞ্জাবদার নেতা অমৃতপাল সরাসরি পলাতক। ই-অরেঞ্জ এর কর্ণধার সোহেল রানা কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে নেপাল পালানোর সময় বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়েন। এরপর কিছুদিন বিচার পর্বের শেষে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন সোহেল।
তারপর তিনি জামিনের আবেদন করে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানায় হাজিরা দেবেন এমন শর্তে জামিন পান। তবে জামিন পেয়ে প্রথমবার হাজিরা দিলেও তিনি আর আসেননি।
আদালতকে কোচবিহার জেলা পুলিশ জানিয়েছে, একটি ই-মেইল পাঠিয়ে সোহেল রানা জানান যে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি। তিনি বিদেশ যাবেন চিকিৎসা করাতে। তাই আপাতত তিনি আসতে পারবেন না।
এরপরই উধাও হয়ে যান এই সোহেল রানা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, সোহেল রানা নেপাল কিংবা সংযুক্ত আমিরশাহি দুবাই কিংবা আবুধাবি চলে গিয়ে থাকতে পারেন।
এই ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জামিনে থাকা অবস্থায় একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী কীভাবে পালালো তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ই-মেইলে সোহেল রানা একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন। আদালত জানতে চাইতে পারে- পোর্ট অফ এমবারকেশন অর্থাৎ বিমানবন্দরগুলিকে সোহেল রানা সম্পর্কে রেড কর্নার নোটিশ দেয়া হয়েছিল কি-না। এই ব্যাপারে ইন্টারপোলের কোনও সাহায্য নেয়া হয়েছিল কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
সোহেল রানা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি নিয়ে এত ঢিলেঢালা আচরণ কেন- তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে জনমনে।