নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৫.৬৯ শতাংশ বেড়েছে।
আলোচ্য বছরে ইইউ-তে ২২.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হিসেবে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২২ সালে সারা পৃথিবী থেকে ইইউ’র পোশাক আমদানি বেড়েছে ২০.৯৭ শতাংশ। প্রধানতম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সেখানে সর্বোচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ ভাল ছিল। কিন্তু ওই বছরের প্রথম ৬ মাস (জানুয়ারি-জুন) যেভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে, পরবর্তী ৬ মাসে তা অনেকটাই কমে এসেছে।
তিনি বলেন, এর মূল কারণ প্রথম ৬ মাস ছিলো কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়। যার ফলে ক্রেতারা বেশি করে তখন পোশাক কিনেছে। এছাড়া চীনে লকডাউন থাকায় তখন আমরা ভাল করেছি।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় পোশাকের চাহিদা কমতে শুরু করে। যার প্রভাব আমাদের রপ্তানিতেও পড়েছে। এছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তারা এখন ইইউতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে বলে তিনি জানান।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি বেড়েছে ১৭.১০ শতাংশ। ২০২২ সালে চীন থেকে ইইউ’র আমদানি ছিল ৩০.১৪ বিলিয়ন ডলার।
ইইউ’র তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক আমদানির উৎস তুরস্ক থেকে পোশাক আমদানি ১০.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমদানি ১১.৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে ইইউর আমদানি যথাক্রমে ২১.০২ এবং ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।