নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতে স্বচ্চতা ও অনিয়ম রোধে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে কোম্পানি আইনের নতুন খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
খসড়া আইনে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একই পরিবারের তিনজনের বেশি পরিচালক না থাকার বিধান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন খসড়া আইনকে অর্থনীতিবিদ ও স্টেকহোল্ডাররা ইতিবাচকভাবে হিসাবে দেখছেন। তারা বলছেন, কোম্পানি আইনের এই সংশোধনী খাতটিতে স্বচ্চতা ও অনিয়ম রোধে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
নতুন আইনে চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর অনিয়মের কারণে ব্যাংক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে মামলা করতে পারবে ব্যাংক।
নতুন আইনে কোন শিল্প গ্রুপ যাতে ব্যাংক কুক্ষিগত করতে না পারে, সেজন্য একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের বিপরীতে একাধিক প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগে লাগাম টানার সুযোগ রাখা হয়েছে।
তবে কেউ কেউ ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব দূর করতে এই নতুন খসড়া খুব একটা কাজে আসবে না বলেও মনে করছেন।
তারা বলছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের সঠিক তদন্ত ও বিচার না হলে আস্থার ঘাটতি থেকেই যাবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন ২০২৩-এর চূড়ান্ত খসড়ায় বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংশোধনী রয়েছে।
"ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে লেনদেন এবং ঋণ প্রদান এবং ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত।"
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, এই আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলে পরিচালনা পর্ষদে 'পরিবারভিত্তিক আধিপত্য' কমবে।
ব্যাংক কোম্পানীর অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন যেন নিয়মিত ইন্সপেকশন বা তদন্ত করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই বিষয়টি নতুন খসড়া আইনে সংযোজন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী পরিষদ সচিব।