ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০

Sharenews24

থ্রিজি সেবা বন্ধ করছে গ্রামীণফোন

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১৬ ১২:১৩:২৪
থ্রিজি সেবা বন্ধ করছে গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন থ্রিজি সেবা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি এজেন্সি (বিটিআরসি) অপারেটরটির আবেদনের পর এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসি সুপ্রিম ফোরাম কমিশন সভায় (২৭৫তম) গ্রামীণফোনকে এ পদক্ষেপ নিতে অনুমোদন দিয়েছে। অপারেটরটি জানিয়েছে, থ্রি-জি সেবা বন্ধ (স্থগিত) করতে ৬ হাজার ৪২৯টি সাইট (টাওয়ার) বন্ধ বা স্থগিত করতে হবে।

অপারেটরটির থ্রিজি সাইটের (মোবাইল টাওয়ার) সংখ্যা ৬ হাজার ৪২৯টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ৬০১টি, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৬১২টি, রাজশাহী বিভাগে ৮৩৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৮০টি, ঢাকা বিভাগে ৫৫০টি সাইট রয়েছে। এবং বরিশাল বিভাগে ১৫৩টি সাইট।

থ্রিজি সেবা স্থগিত করতে ৫টি শর্ত মানতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্পেকট্রাম বিভাগ ২টি শর্ত দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। শর্তসাপেক্ষে থ্রিজি সেবা বন্ধের কাজ শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

২০২১ সালের অক্টোবরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছে থ্রি-জি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং তিনি বলেছিলেন, "আমরা আর থ্রি-জি রাখার প্রয়োজন দেখছি না।" আমরা চাই মানুষ ফোরজি ব্যবহার করুক। কারণ ভবিষ্যতে টু-জি এবং ফোর-জিই থাকবে।

জানা গেছে, থ্রিজি সেবা স্থগিতের আবেদনে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের ৩৫টি জেলার ৬ হাজার ৪২৯টি সাইটে থ্রিজি টেলিযোগাযোগ সেবা স্থগিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে, সেই সাইটগুলির গ্রাহকরা টু-জি এবং ফোর-জি পরিষেবার আওতায় রয়েছে। এতে এসব এলাকার গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন ও আধুনিক সেবা পাবেন।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে যেসব শর্ত দিয়েছে তা হলো—থ্রি-জি সেবা বন্ধ করা হলে গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের জন্য ফোর-জি নেটওয়ার্ক ও টু-জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট এলাকায় থ্রি-জি সেবা স্থগিত করতে হলে থ্রি-জি সিম বদলে ফোর-জি সিম সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় রিটেইলারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এবং যারা ফোর-জি পরিষেবা নিতে ইচ্ছুক নন তারা টু-জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন, যদি অপারেটরকে সমমূল্যে প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট সরবরাহ করতে হয়।

এছাড়া যেসব এলাকায় থ্রিজি সেবা স্থগিত থাকবে সেসব এলাকায় গ্রাহকদের বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন এসএমএস, ভয়েস মেসেজ, রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে জানাতে হবে। থ্রি-জি সেলুলার মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের লাইসেন্স মোতাবেক থ্রি-জি সেবা প্রদান বন্ধের ৯০ দিন আগে কমিশন ও সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের জানানোর নিয়ম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মোবাইল ফোন অপারেটর রবি সবার আগে থ্রি-জি বন্ধের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে বিটিআরসিতে। রবি অনুমোদন পেয়ে থ্রি-জি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জানা গেছে, বাংলালিংকও থ্রি-জি সেবা বন্ধের জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে অনুমোদন পেয়েছে। গ্রামীণফোনকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, একই শর্ত বাংলালিংককেও দেওয়া হয়েছে। বাংলালিংক থ্রি-জি সেবার সাইট (টাওয়ার) বন্ধ করলে প্রযোজ্য শর্ত মেনেই করতে হবে।

শেয়ারনিউজ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে