ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
Sharenews24

বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইতালির মোনফ্যালকনের মেয়র

২০২৪ সেপ্টেম্বর ০৭ ২২:০১:১৮
বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইতালির মোনফ্যালকনের মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইতালির মোনফ্যালকন শহরের মেয়র দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধে নেমে পড়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ৩০ হাজার বাসিন্দার শহর মোনফ্যালকন, ইতালির অন্য যে কোনো নগরীর চেয়ে অনন্য। কেননা শহরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী বিদেশি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই আবার বাংলাদেশি মুসলিম।

ইতালীর এই শহরে নব্বইয়ের দশকে বড় বড় প্রমোদতরী বানানোর জন্য বাংলাদেশিরা পাড়ি দেন। এতেই নাকি মোনফ্যালকনের সাংস্কৃতিক নির্যাস হুমকির মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছেন শহরটির নারী মেয়র অ্যানা মারিয়া সিসিন্ত।

ডানপন্থি লিগ পার্টির নেত্রী অ্যানা মারিয়া সিসিন্ত অভিবাসনবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখন তিনি নেমেছেন নতুন মিশনে।

‘শহর সুরক্ষা’ নামের এই মিশনের আওতায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে খ্রিস্টান মূল্যবোধকে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র অ্যানা মারিয়া।

ইতালীয় নাগরিকরা যেখানে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী- পোশাকও পরেন তেমন, সেখানে বাংলাদেশি নারীদের দেখা যায় সেলোয়ার, কামিজ আর হিজাবে।

শহরটিতে আরও রয়েছে বাংলাদেশিদের হালাল দোকান ও রেস্টুরেন্ট। তারপরও দৃষ্টিকটু, চক্ষুশূল মেয়রের কাছে।

অ্যানা মারিয়ার প্রশাসন এই শহরের যে অংশে অধিকাংশ বাংলাদেশি বসতেন, সেখান থেকে বেঞ্চগুলো সরিয়ে ফেলেছেন। সমুদ্রের তীরে মুসলিম নারীরা যে পোশাক পরেন, তার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন তিনি।

এছাড়া, শহরের দুটি ইসলামিক সেন্টারে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ করেছেন। যার ফলে মোনফ্যালকনে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

বিবিসি বলছে, ইতালির আইনে যে কটি ধর্মের কথা বলা হয়েছে, তাতে ইসলামের কোনো উল্লেখ নেই। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন অ্যানা মারিয়া।

তবে মোনফ্যালকনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বলছেন, মেয়রের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় মুসলিমদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

ইতালি, ইউরোপের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর মধ্যে একটি। গেল বছর সেখানে মাত্র ৩ লাখ ৭৯ হাজার শিশু জন্মেছে। শ্রমিকের সংখ্যাও কম দেশটিতে। জন্মহার নেতিবাচক থাকা এই দেশে প্রবাসীরাই প্রধান ভরসা।

ধারণা করা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ ইতালিতে প্রতি বছর ২ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। তা সত্ত্বেও অভিবাসনবিরোধী মনোভাব প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে