জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৮টি কোম্পানি। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বস্ত্রখাতের চারটি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের দুইটি, খাদ্য খাতের একটি এবং চামড়া খাতের একটি কোম্পানি রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব প্রতিষ্ঠানের মাঝে ট্রফি ও সনদ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য এই ট্রফি দেওয়া হয়েছে। দুই বছরে মোট ১১৩টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে। ট্রফি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্য পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে- স্কয়ার টেক্সটাইলস, শাশা ডেনিমস, এনভয় টেক্সটাইল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কায়ার ফার্মা, এপেক্স ফুডস এবং এপেক্স ট্যানারি। এর মধ্যে দুই বছরই পদক পেয়েছে এপেক্স ফুডস, এপেক্স ট্যানারি, শাশা ডেনিমস এবং এনভয় টেক্সটাইল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এবং ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা।
২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় স্কয়ার টেক্সটাইল। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৬২ দশমিক ১৫ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ১৭ দশমিক শূন্য ৪০ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং বাকি ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
২০১৫ সালে শাশা ডেনিমস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। টেক্সটাইল খাতের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ১৬ দশমিক শূন্য ৪৮ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং বাকি ২৯ দশমিক শূন্য এক শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
এনভয় টেক্সটাইল ২০১২ সালে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ২৬ দশমিক শূন্য ৯৫ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বাকি ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৬৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ পাঁচ দশমিক শূন্য ৫১ শতাংশ এবং বাকি ২৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বেক্সিকো ফার্মা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ২৭ দশমিক শূন্য ৭৩ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ৩৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং বাকি ২২ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৫ সালে। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ১২ দশমিক শূন্য ২৬ এবং বিদেশিদের হাতে ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এবং বাকি ৩৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
এপেক্স ফুডস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮১ সালে। কোম্পানিটির মোট অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা, আর পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মোট শেয়ারের ২১ দশমিক ৮৩ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ৩৮ দশমিক ৯৩ এবং বাকি ৩৯ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এপেক্স ট্যানারি। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫২ শতাংশ হচ্ছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে এবং বাকি ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।