ঢাকা, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
Sharenews24

‘শেখ হাসিনা আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রীও হতে চেয়েছিলেন'

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৬ ০০:০২:৫৬
‘শেখ হাসিনা আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রীও হতে চেয়েছিলেন'

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা মেগা মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা মেগাদুর্নীতি করে বাংলাদেশকে ফোকলা করে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।’

আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৬ বছর বাংলাদেশকে চুষে খেয়ে যা ছিল ১৬টা লাগেজে করে নিয়ে বোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারে নরেন্দ্র মোদির ঘরে গিয়ে পড়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৫০ বছর ছিল শেখ হাসিনার প্রতিশোধের রাজনীতি। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না, তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার শুধু বাংলাদেশের ওপর প্রতিশোধ নেয়নি, আওয়ামী লীগের ওপরও নিয়েছে।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলেছিলেন পঁচাত্তরে আপনারা কোথায় ছিলেন। তিনি একবারও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর কথা ভাবেননি। পালিয়ে গেছেন।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন প্রতিশোধপরায়ণ সাইকোপ্যাথ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে বছরের পর বছর মানুষের কাঁধের ওপর বসিয়ে শাসন করার ব্যবস্থা করেছে, শুধু এ কারণেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার হওয়া উচিত।’

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ভিনদেশি কোনো এক রাষ্ট্রের আশীর্বাদে ও সমর্থনে বাংলার মসনদ দখল করে রাখার জন্য অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে। জুলাই থেকে আগস্টে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেও শেখ হাসিনার রক্ততৃষ্ণা মেটেনি। তিনি প্রয়োজনে লাখো মানুষ হত্যা করেও ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হতো না। এটি ছিল নাটক। এই নাটকের কুশীলব ছিল শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এরা রাতের অন্ধকারে কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত। আবার সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়ত। এখন তারা নেই, নাটকও নেই। এখন বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের প্রধান দায়িত্ব হলো দুর্গাপূজাসহ সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। পুলিশ ও প্রশাসনকে সরকারি দল নয়, রাষ্ট্রের কাজে, জনগণের কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মসজিশের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে